উৎসব বা অনুষ্ঠান হোক, বাঙালি বাড়িতে
মিষ্টি দই এক অপরিহার্য অঙ্গ। ঘন দুধের সাথে চিনি মিশিয়ে সেটাকে এমনি দই-র
মত গেঁজিয়ে বা বসিয়ে তৈরি করা হয় মিষ্টি দই। এই মিষ্টি দেওয়া দইটি বানানো
খুবই সোজা। কিন্তু দইটা তৈরী হতে সময় লেগে যায় প্রায় ১০-১২ ঘন্টার মত।
সরযুক্ত ঘন দুধকে আরও ঘন করে প্রায় শুরু থেকে অর্ধেকে পরিণত করতে হবে।
তারপর তাতে মেশাতে হয় গলানো চিনি। এরপর
এতে দই মিশিয়ে বসতে দেওয়া হবে ফ্রিজে। এই যে সাদা টক দই এর টক ভাব, তার
সাথে গলানো চিনির মিষ্টত্ব, দুটো মিলিয়ে একটা দারুণ স্বাদ নেয় এই পদটি। যদি
মনে হয় একবার বাড়িতে চেষ্টা করে দেখবেন, চিন্তার কী আছে!
উপাদান-
দুধ – ৭৫০ মিলি, চিনি- ৭ ১/২ টেবিল চামচ, পানি- ১/৪ কাপ, টাটকা দই- ১/২ কাপ, বাদাম, সাজানোর জন্য অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল
প্রস্তুত প্রণালী
১.একটা গরম প্যানে দুধটা ঢালুন।
২.এরপর
এটা ফুটিয়ে অর্ধেক করে দিন।
৩.অন্যদিকে অন্য একটা প্যানে চিনিটা দিন।
৪.হালকা আঁচে নাড়তে থাকুন।
৫.এই নাড়াচাড়া করার মধ্যে মাঝে মাঝে গ্যাসটা
(চুলা) বন্ধ করুন, আবার চালান। যাতে চিনিটা নিচে না ধরে যায়।
৬.বারবার এরকম
করতে করতে এক সময় দেখবেন চিনিটা পুরো গলে গেছে এবং একটা হালকা বাদামি রঙ
হবে।
৭.এবার আগুনটা পুরো বন্ধ করে পানি দিন।
৮.ভাল করে মিশিয়ে একপাশে রেখে
দিন।
৯.দুধটা অর্ধেক হয়ে গেলে, এবার এতে এই চিনির শিরাটা ঢেলে দিন।
১০.ভাল
করে মিশিয়ে চুলা থেকে নামিয়ে নিন।
১১.ঠাণ্ডা হতে দিন। মোটামুটি উষ্ণ গরম
অবস্থায় এলে দেখুন।
১২.এবার টাটকা টক দইটা এর মধ্যে দিয়ে মেশান।
১৩.পরিবেশনের জন্য কেনা ছোট মাটির মটকায় এটা এবার ঢেলে নিন।
১৪.এবার এই
মাটির মটকাগুলো অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল দিয়ে মুড়িয়ে দিন।
১৫.১০-১২ ঘন্টার জন্য
ফ্রিজে রাখুন।
১৬.পরিবেশনের আগে ফয়েল সরিয়ে ওপরে কুচনো বাদাম দিয়ে সাজিয়ে
দিন।
১.টাটকা দই ব্যবহার করবেন। পুরনো খুব বেশি টক দই নয়।
২.আগুনটাকে খেয়াল করে বন্ধ করুন, আবার চালান। চিনি যেন নিচে ধরে না যায়।
৩.দইটা খুব ভাল করে মেশাবেন। দেখবেন যেন ভেতরে দলা না পাকিয়ে যায়।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন